আসসালামুয়ালাইকুম গ্রাম সময় পেজে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।

সুন্দরগঞ্জের সেই শিক্ষক জেল হাজতে

 


গাইবান্ধা জেলা শহরের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে নিয়ে গিয়ে সুন্দররগঞ্জ উপজেলার এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের মামলায় আদালত অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ ইউনুস আলীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। 


অভিযুক্ত শিক্ষক গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। শিক্ষক ইউনুস আলী সুন্দরগঞ্জের তারাপুর ইউনিয়নের নওহাটী চাচীয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। 


মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) গাইবান্ধা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক প্রদীপ কুমার রায় আসামী ইউনুস আলীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।


মামলা এবং কিশোরীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নওহাটী চাচীয়া গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে আপন চাচাতো ভাইয়ের কিশোরী মেয়েকে (ভাতিজি) গাইবান্ধা জেলা শহরে তার বাসায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন শিক্ষক ইউনুস আলী। সেখানে ওই কিশোরী বাসার কাজও করবে এবং পড়াশোনা করাবেন বলে কিশোরীর পরিবারকে কথা দেন ওই শিক্ষক। তার কথায় ওই কিশোরীর পরিবার রাজী হলে মেয়েটিকে জেলা শহরে থানা পাড়ায় তার বাসায় নিয়ে যান।


এরপর করোনা ভাইরাসের কারণে মার্চ মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে ওই শিক্ষক বাসাতেই থাকতেন। সে সময় থেকে পরিবারের সদস্যদের আড়ালে কিশোরীর শরীর স্পর্শসহ মোবাইলে ও কম্পিউটারে পর্ণ ভিডিও দেখাতেন। এসময় একদিন বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ওই কিশোরীকে গোসল করার সময় ধর্ষণ করেন তিনি। তারপর থেকে সবার অজান্তেই ওই কিশোরিকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন ইউনুস আলী। 


ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না জানাতে কোরআন শরীফ, জায়নামাজ ও মাথা ছুঁইয়ে গৃহকর্মীকে শপথ করান ওই শিক্ষক। এরপর গ্রামের বাড়ীতেও যেতে দেননি গৃহকর্মীকে। শিক্ষক ইউনুস আলীর স্ত্রী কিছু দিন পর কিশোরীকে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে ইউনুস আলীকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেন ও কিশোরীকে তার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। 


বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছে সবকিছু জানায় ওই গৃহকর্মী। এরপর জানাজানি হলে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় অভিযুক্তের পরিবার। এতে কাজ না হওয়ায় নানা ধরণের হুমকি দেন গৃহকর্মীর পরিবারকে। এমনকি পরিবারের কেউ যাতে বাড়ি থেকে বের হতে না পারে সে চেষ্টাও চালান ওই শিক্ষকের লোকজন। 


এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর দাদি চলতি বছরের ৯ জুন বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামী ওই শিক্ষক পলাতক ছিলেন। মামলাটির তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)কে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.