আসসালামুয়ালাইকুম গ্রাম সময় পেজে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।

খবর ছিল সীমান্ত থেকে রংপুর উপর দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান যাবে সিরাজগঞ্জ হয়ে ঢাকার দিকে।

 "মাদক কারবারি" শব্দটি শুনলেই আমাদের চোখের সামনে যে ছবি ভেসে ওঠে তার সাথে কোন মিল নেই বাস্তবতার। এরা আর পাঁচটা মানুষের মতোই দেখতে। বিভিন্ন পেশার  অন্তরালে মাদক স্থানান্তর করে মোটা অঙ্কের অবৈধ টাকা হাতিয়ে নেয়।

হ্যাঁ এমনই এক মাদক কারবারিদের গল্প শোনাবো আজ আপনাদের।

খবর ছিল সীমান্ত থেকে রংপুর উপর দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান যাবে সিরাজগঞ্জ হয়ে ঢাকার দিকে। কি গাড়িতে যাবে তার কোন সঠিক তথ্য নেই!! আদাজল খেয়ে মাঠে নেমে পড়ে র‍্যাব-১৩ সদর ক্যাম্পের চৌকস অভিযানিক দল। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট পরিচালনা করে, একের পর এক সন্দেহজনক গাড়িতে তল্লাশি করেও কিছুই পাওয়া যাচ্ছিলনা ।


শেষতক সন্দেহ হয় চেক পয়েন্ট এর কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি পাথর বোঝাই ড্রাম ট্রাককে ঘিরে। গাড়ির আশেপাশে ড্রাইভার অথবা ট্রাক হেল্পার কাউকেই দেখা যায়নি দীর্ঘ সময় ধরে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আমরা ট্রাকের ড্রাইভার এবং হেল্পারকে সনাক্ত করতে পারিনি। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করার পর এক সময় ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপারকে পাওয়া গেলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছুই জানে না বলে ভান করে। আমরাও নাছোড়বান্দা, জিজ্ঞাসাবাদে অনেক সন্দেহজনক কথা বলতে থাকে ওরা, ট্রাক তন্নতন্ন করে খোজ করিআমরা, অবশেষে  ট্রাকের চেম্বারের ভিতরে ড্রাইভার ও হেল্পারের সিটের পিছনে বিশেষ কায়দায় থরে থরে সাজানো বিভিন্ন প্যাকেটে অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল এবং দুই বস্তা গাজা পেয়ে যাই।


ধরা পরলো মাদক  কারবারীদের অভিনব কৌশল। গ্রেফতার করা হয় মাদক চোরাকারবারী দলের সংক্রিয় সদস্য ১। মোঃ রাসেল মিয়া ৩। মোঃ রাব্বিকে। এবং উদ্ধার করা হয় ফেনসিডিল ৭৬৩ পিচ এবং গাজা ১০.৫০০ কেজি ও জব্দ করা হয় ড্রাম ট্রাক।


এই মরনঅস্ত্র দিয়েই ধ্বংস করা হতো আমাদের যুবসমাজকে, কিছু অসাধু মাদক কারবারি বসে থাকত কালো টাকার পাহাড়ে। হয়তো সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে, কোন ভালো মানুষের মুখোশ পরে।





No comments

Powered by Blogger.